উভয় দেশের সম্পর্কের ‘নতুন দিগন্ত’ উন্মোচনের বার্তা দিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এস. জয়শঙ্কর। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক সংযোগকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বেজিংয়ে।
বিস্তারিত প্রতিবেদন:
বেজিংয়ে এক ঐতিহাসিক কূটনৈতিক পর্বের সাক্ষী থাকল বিশ্ব। ২০২০ সালের গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এস. জয়শঙ্করের চিন সফর নতুন করে দিল দুই দেশের সম্পর্কের পুনর্গঠনের বার্তা।
চিনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন জয়শঙ্কর। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য, সীমান্ত, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারত সরকার চিনকে সমর্থন জানিয়েছে তার চলতি SCO সভাপতিত্বকালে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-এর (SCO) সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে জোরদার করতে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বেজিং সফর করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন,
“ভারত-চিন সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক পথে ফিরে আসে, তবে তা হবে উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক।”
তিনি জানান, উভয় দেশের মধ্যে নির্ভরযোগ্য ও খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমেই নতুন সুযোগের সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, করোনা পরবর্তী সময়ে কৈলাস-মানসসরোবর যাত্রা পুনরায় চালু হওয়ায় ভারতের তরফে প্রশংসা করা হয়েছে চিন সরকারের।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’
হান ঝেং বৈঠকে বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নিয়মিত আলোচনা প্রয়োজন।”
এই সফর তাই শুধু এক রাষ্ট্রনায়কের সফর নয়, বরং দুই প্রাচীন সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপনের একটি প্রয়াস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত সমস্যা, বাণিজ্য ভারসাম্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ:
সীমান্ত ইস্যুতে ধাপে ধাপে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটার ইঙ্গিত
শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সম্ভাবনা
বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় নতুন চুক্তির সম্ভাবনা
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এস. জয়শঙ্করের এই প্রথম চিন সফর তাই নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধু অতীতের সংঘাতের অধ্যায় পেছনে ফেলে এক নতুন পথচলার সূচনা নয়, বরং দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার একটি আশার আলো।