অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে দুর্ঘটনার পর এএআইবি জমা দিল রিপোর্ট, উঠে এল প্রযুক্তিগত ত্রুটির সম্ভাবনা।
অহমদাবাদ, ৮ জুলাই:
গত ১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ বিমানটি ওড়ার ঠিক ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। প্রাণ হারান কেবিন ক্রু, পাইলট-সহ মোট ২৬০ জন যাত্রী। এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। এবার সেই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে।

দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ব্ল্যাক বক্স এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে প্রাথমিক রিপোর্টটি। এই রিপোর্ট চলতি সপ্তাহেই জনসমক্ষে প্রকাশিত হতে পারে।
বিমানটি ভেঙে পড়ার পর দেহাবশেষ চিহ্নিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও।

🛑 কেন ঘটল দুর্ঘটনা?
১৩ জুন উদ্ধার হয় বিমানের প্রথম ব্ল্যাক বক্স, যেখানে রেকর্ড থাকে ফ্লাইটের টেকনিক্যাল তথ্য এবং ককপিটের কথোপকথন। ১৬ জুন উদ্ধার হয় দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটিও। এগুলির বিশ্লেষণ করছে এএআইবি।
ব্লুমবার্গ-এর এক বিশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিক সময়ে বন্ধ হয়নি এবং ডানাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। এমনকি দু’টি ইঞ্জিনও একযোগে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান। তবে একাধিক সূত্র এই মত প্রকাশ করলেও, সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঘটে না। থাকতে পারে সফটওয়্যার, মানবিক ভুল বা নিরাপত্তা ত্রুটি— যা নিয়ে আরও গভীর তদন্ত চলছে।
🔍 পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
প্রাথমিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত তদন্ত চলবে। রিপোর্ট প্রকাশের পর জনসাধারণ ও বিমান সংস্থাগুলির জন্য কিছু নতুন নিরাপত্তা নির্দেশিকা আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

